এই তো সেদিনকার কথা, বলতে বলতে চলতে চলতে দুটি বছর পার হয়ে গেল। ২০১৭ সালের শেষের দিকে যখন দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ানোই ছিল মূখ্য কাজ, হঠাৎ করেই মনে হলো নিজের জন্য না হলেও সন্তানদের পরিচয়ের জন্য কিছু একটা করা প্রয়োজন। তখন পাশের দেশ ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় একটি ব্যবসায়িক ধারনা এলো যে এ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশে বসেই ব্যবসা আরম্ভ করা যাবে।
এভাবে ভাবতে ভাবতে মাথা ঘুরপাক খাচ্ছিল যে, কি পরিচয়ে বা কি উদ্দেশ্যে ব্যবসা শুরু করা যায়, তাই গ্রাহকদের সুখের কথা চিন্তা করে মাথায় চেপে বসলো “খুশি”, যে “খুশি” সকলের মুখে ফোটাবে হাসি। এরপর শুরু হলো অস্তিত্বের লড়াই, “খুশি” নামে ডোমেইন কিনতে হবে, অনেক ঝাপটা ঝাপটির প্রায় দুই তিন মাস পর কিনে ফেললাম “খুশি” ডট কম ডোমেইন, এখন “খুশি” কোথায় ব্যবসা করবে এ নিয়ে শুরু হলো ভাবনা, স্থান হিসেবে বেছে নিলাম শ্বশুরের বাসার নিচ তলা, পেঁয়াজ দিয়ে শুরু হলো প্রাথমিক পর্যায়ের বেচাকেনা। এর কিছুদিন পর পেঁয়াজের পাশাপাশি বাড়ানো হয় আরো ৬ থেকে ৭ টি আইটেম। বেশ রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছিল “খুশি”।
প্রায় দুই তিন মাস চলার পর ব্যবস্থাপনা জটিলতার কারণে বন্ধ করে রাখা হয় সকলের সুখের কাঙ্খিত নামধারী “খুশি”। আবার কিছুদিন পর ২য় বারের মত চালু হলো “খুশি”, এবারো অল্পকিছুদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় “খুশি”, প্রায় দেড় বছর পরে বিভিন্ন চড়াই উতরাই পার করে দুই হাজার বিশ সালের ফেবুয়ারী মাসের শেষের দিকে চালু হয় “খুশি”, তবে আনন্দের বিষয় “খুশি” চালু হয়েছে বলে নয়, আবার কবে বন্ধ হয়ে যাবে এই ভয়ে কাষ্টমারদের মধ্যে কানাঘুষো চলে, কিন্তু আমরা কখনো চাইনি “খুশি” আগের মত আর কখনো ব্যর্থ হোক “খুশি”। তাই গ্রাহকদের অফুরন্ত ভালোবাসা, “খুশি” সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে “খুশি” আজ পাড়ায়-পাড়ায়, মসজিদ-মহল্লায় নাম ডাক অর্জন করেছে। এখন “খুশি”র জন্য সকল স্তরের লোকজন দোয়া কামনা করে, এর পিছনের কারণ খুবই করুন, এই চলতি করোনা মহামারী যখন এদেশে বিকট সাড়া ফেলে তখন আনাচে কানাচের কত শত মুদি দোকান বন্ধ করে ফেলে, আর যারা খোলা রেখেছে তারা অসহায় গ্রাহকদের কাছে গলাকাটা দরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করেছে, যেখানে আমাদের “খুশি” মিনিকেট চাল ৫২ টাকায়, চিনি ৫০ টাকায়, মসুরের ডাল ৪৮ টাকা, লবণ ২৬ টাকায়, ভোজ্য তেল ৮০ টাকায় বিক্রি করেছে, অন্য দিকে একশ্রেণীর মাতাল ব্যবসায়ীরা কামিয়ে নিয়েছে কত শত অগণিত কোটি কোটি টাকা, আর আমরা গরিব দুখী সাধারণ জনগণের মাঝে বিলিয়েছি ট্রাকে ট্রাকে আটা ময়দা ছোলা। আমরা “খুশি”র সকল গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাই, তারা সবসময় আমাদের সাথে ছিল ভবিষ্যতেও থাকবে।
এভাবেই “খুশি” তার সকল কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, “খুশি”র বর্তমানে সাতটি আউটলেট ও ৫০ জন কর্মচারী ও কর্মকর্তা রয়েছে।
শুভেচ্ছান্তে